গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ অবাধে মেলামেশা করার সময় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ছেলে ও মেয়েকে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই নিরঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস শ্রেনীকক্ষে অবাধে মেলামেশা করার জন্য জায়গা দিয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী।
জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর সকালে এলাকার কিছু যুবকরা খেলাধুলা করার জন্য বাঁকাই হরগবিন্দ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয় মাঠে যান। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অসময়ে তারা বিদ্যালয়ের গেটটি খোলা দেখতে পেয়ে ভবনের ২য় তলায় উঠে যান এবং গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাসার রুমের পাশের শ্রেনীকক্ষে বাকাই বাজারের মেসার্স সাহা জেনারেল স্টোরের মালিক মনোতোষ সাহার ছেলে অংকন সাহা ও একটি মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে।
স্থানীয় শিক্ষক মোঃ আল আমিন জানান, বাকাই নিরঞ্জন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নিয়ে পাশের বাঁকাই হরগবিন্দ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়ের ২য় তলায় একটি কক্ষে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন। ওই মহাবিদ্যালয়ের গেটের চাবি প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাসের কাছেই থাকে। এরকম ঘটনা বিদ্যালয়ে হরহামেশাই ঘটে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, অংকন সাহা ও মেয়েটিকে সাবেক ইউপি সদস্য বিপ্লব, আনোয়ার, শাহজাহান ও ইদ্রিসের কাছে তুলে দেন। কিন্তু তারা অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মুহূর্তের মধ্যে অংকন ও ওই মেয়েটিকে সরিয়ে ফেলেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বিষটির সত্যতা স্বিকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে এসে এই ঘটনার কথা শুনেছি এখানে নাকি একটি ছেলে ও মেয়েকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছিল। তবে আমি বিদ্যালয়ে আসার আগেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে গেছে।
Leave a Reply